শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২৮ ও শেষ দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় তিন বছর। আজ ওরা দেশে ফিরবে। ওদের সাথে আরও দুইটা জান যুক্ত হয়েছে। মিহাল ও তূরের দুই ছেলে নীড় ও মেঘ। পুচকুদের এক বছর পেরিয়ে গেছে। বাচ্চারা এখন তাদের এলেক্স ও ম্যাক্স আংকেলের কোলে চড়ে সময় কাটাচ্ছে। তাওহীদ ও আসফি আরও দুই বছর পর […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২৭ অশ্রুসিক্ত বিদায় সম্ভাষণের পর বিমানে উঠেছে তূর, মিহাল, রিজভী, রাফিরা। আর পনেরো-বিশ মিনিট পর টেকঅফ করবে। তূরের আঁখিযুগল নোনাজলে সিক্ত হচ্ছে বারংবার। মিহাল এক হাত দিয়ে আগলে রেখেছে ওকে। স্থির বিমানের জানালা দিয়ে রানওয়ের পাশে সবুজ ঘাস গুলো রানওয়ের ঈষৎ হলুদাভাব আলোয় স্বর্ণকণার মতো লাগছে। রাত আটটার দিকে বৃষ্টি হয়েছিল বলে […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২৬ সদ্য স্নানে স্নিগ্ধ নববধূ। লাল জামদানী গায়ে জড়িয়ে আরশিতে প্রিয়তমের ঘুমন্ত প্রতিচ্ছবি দেখে লাজুক হাসে তূর। গতকাল রাতে গল্প করতে করতে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গিয়েছিল তারপর একসাথে নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছে দুজনে। সকাল ৯টা বাজে এখন। পরিপাটি হয়ে বসে আছে কেউ ডাকতে আসবে তার অপেক্ষায়। কিন্তু এখনও কেউ এলো না। তূর মিহালকে […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২৪+২৫ (বিয়ে স্পেশাল) লাল বেনারসিতে বধূ সাঁজে সজ্জিত তূর ও নীরা। পার্লারের দুইটা মেয়েকে বাসায় আনা হয়েছে সাঁজানোর জন্য। তূরের মা ও বাবা দুইজনে মেয়েদের কাছে আসেন। তাদের দেখে বাকি সবাই রুম থেকে বিনাশব্দে প্রস্থান করে। তূরের বাবা ও মা তূর ও নীরার পাশে এসে বসেন। ওদের মায়ের চোখ ছলছল করছে। ওদের […]Read More
#শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ #নুরুন্নাহার_তিথী #পর্ব_২৩ উৎসব মুখর পরিবেশে আচ্ছাদিত বিয়ের ভেন্যু। তিন পরিবারের আত্নীয় স্বজনরা সব জড়ো হয়েছে। স্টেজে হলুদের সাঁজে সজ্জিত দুই কনে। হরেক রকমের আলোকসজ্জাতে দুই কনেকে অগনিত পুষ্পের মাঝে পরিস্ফুটিত পুষ্পের ন্যায় লাগছে। কাঁচা ফুলের গহনাতে পুষ্পরাণী উপাধি দিলে মন্দ হবে না। কনেদের মুখে লেগে আছে লাজুক হাসি। বিপরীত স্টেজে দুই বর বসে […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২২ অপলক দৃষ্টিতে মিহালের নত মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে আছে। ছন্দটা বলার সময় মিহাল তূরের চোখের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে বলেছিল তারপর আবার নুপুর পড়ানোতে মন দিয়েছে। তূরের আঁখিযুগল নোনাজলে ভরে উঠলো। মিহাল যে হুট করে মাথা উুঁচু করবে তূর বুঝতে পারে নি। তূরের ভেজা নয়ন দেখে ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে পরে মিহাল আর তূর […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২১ গুরুগম্ভীর আবহাওয়া বিরাজমান কক্ষের আনাচে কানাচে। তূর কাঁচুমাচু হয়ে বসে আছে। মাঝে মাঝে যেন তার সব সাহস হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো বাতাসে মিলিয়ে যায়। তূরের বাবা তূরের ভীতু মুখশ্রী অবলোকন করে বললেন, –কথাটা তুমি নিজে এসেও আমাকে বলতে পারতে। ইফতিকে দিয়ে বলানোর কি ছিল? তূর অবাক হয়। তূর অজ্ঞাত ছিল ইফতির বিষয়ে। […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_২০ আকাশে ঈদের চাঁদ। ত্রিশ দিন সিয়াম-সাধনার পর মুসলিমদের খুশির ঈদ। আরিফ ও প্রমিতির বিয়ে হয়ে গেলো একটু আগে। প্রমিতির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না কেন সেটাই চিন্তার বিষয়। ডাক্তাররা প্রমিতির শারিরিক অবস্থা বিবেচনা করে সপ্তাহে দুটো করে ডায়ালাইসিস দিতেও পারছে না। কিডনির সাথে সাথে প্রমিতির র*ক্তেও ইনফেকশন দেখা দিয়েছে যার কারণে প্রমিতি […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_১৯ ইফতিরা চলে গেল। নীরার মুখে লজ্জামিশ্রিত হাসির রেশ লেগেই আছে। নীরার মনে যেন বসন্তের রঙ লেগেছে। নীরা তূরের রুমের বারান্দা থেকে এখনও যায় নি। আঁধারের মাঝে নিচে জ্বালানো সোডিয়াম লাইট সাথে চন্দ্রমার প্রেমময় জোৎসনার আবছা আলোতে নীরা গুনগুন করতে থাকে, “হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে মন বাড়িয়ে ছুঁই(২) দুইকে এক করি-না, […]Read More
শেষের_পঙক্তি লেখনীতেঃ নুরুন্নাহার_তিথী পর্ব_১৮ তূরের মামা-মামী তূরকে জোর করে এটা ওটা খাওয়াচ্ছেন। তাদের বড় বোনের সন্তানরা তো দেশে কালেভদ্রে আসে। তাই ছোট বোনের সন্তানদের অধিক যত্ন করেন। তূর আবার অনেক বছর পর নানুবাড়ি গেলো। মামীরা খাবার মুখে তুলে খাইয়ে পর্যন্ত দিচ্ছেন। তিন মামারা তাদের বউদের কার্যকলাপে মুগ্ধ। তূরের নানু বসে বসে বউদের নাতনীকে আদর যত্ন […]Read More